নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শেষ, কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট দিল CBI

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শেষ, কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট দিল CBI
সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে শেষ করা হয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম – দশম ও একাদশ – দ্বাদশ নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শেষ করে নিম্ন আদালতে চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। এই মর্মে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে রিপোর্ট পেশ করল তদন্তকারী সংস্থাটি। ওদিকে এদিনই ভুয়ো প্রার্থীদের তালিকা পেশ করে বিচারপতি বসাকের এজলাসে হলফনামা পেশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
গত ৯ নভেম্বর নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলা কলকাতা হাইকোর্টে ফেরত পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। ২ মাসের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থাকে সমস্ত মামলার তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে এই মামলাগুলি বিশেষ বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সঙ্গে ৬ মাসের মধ্যে যাবতীয় মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করতে হবে বলে নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সোমবার কলকাতায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে চূড়ান্ত চার্জশিট দেয় ইডি। চারটি চার্জশিটেই নাম রয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। সেই সঙ্গেই পার্থ ঘনিষ্ঠ এক আমলা ও এএসএসসি এক প্রাক্তন চেয়ারপার্সনের নামও রয়েছে বলে খবর।
এদিকে এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কার্যত নাটের গুরু হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে। চারটি চার্জশিটেই নাম রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের। দীর্ঘ তদন্তের পর এবার চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করল সিবিআই।
২০২২ সালের জুলাই মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে। তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়কেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার ফ্ল্যাট থেকে মিলেছিল কোটি কোটি টাকা। গত ১৭ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকেও। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের একাধিক কর্তা বর্তমানে এই মামলায় জেল খাটছেন।
এর আগে নবম-দশম নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার চার্জশিটে নাম ছিল ১২জনের। সেই তালিকায় ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্য়ায় ও অশোক রাহার নাম। এছাড়া চার্জশিটে নাম রয়েছে প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীরও।
সিবিআই চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করে হাইকোর্টে রিপোর্ট দেওয়ায় নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে একটি পর্ব মিটল। এর পর চার্জ গঠন করে শুরু হবে শুনানি। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সেই প্রক্রিয়া শেষ হতে পারে। শুনানিতে সিবিআই, মামলাকারী ও SSC সবাই নিজের বক্তব্য জানাতে পারবে। মামলাকারীরা আবেদন করলে পাবে সিবিআইয়ের পেশ করা রিপোর্টের কপি।
এছাড়া এদিন হাইকোর্টে SSC-র তরফে একটি হলফনামা দিয়ে প্যানেলের বাইরে যারা নিযুক্ত হয়েছেন তাঁদের তালিকা পেশ করা হয়েছে। SSC জানিয়েছে, এরা ব়্যাঙ্কজাম্পসহ বিভিন্ন বেনিয়ম করে চাকরি পেয়েছেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *